• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

যোগাযোগ

পাহাড়ি ২৬ উপজেলায় স্থাপিত হচ্ছে সড়ক নেটওয়ার্ক

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০২৩

নুরুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি:

পার্বত্য তিন জেলার ২৬টি উপজেলায় স্থাপিত হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক। এই সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপিত হলে পাহাড়ের কৃষি ও অকৃষি পণ্যের পরিবহন ব্যয় কমবে। এর ফলে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলা, বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলা এবং খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার পাহাড়ে এই সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের তিন জেলা ঘিরে গ্রামীণ জনসাধারণের কৃষি ও অ-কৃষি খাতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়ারী কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদনে এবং উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণে সহযোগিতা ও পর্যটন খাতে উন্নতি সাধন, পল্লী এলাকার দুস্থ নারীদের উন্নয়ন কর্মকাÐে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা এবং পল্লী এলাকায় জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছানোর লক্ষ্যে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে ৭৩২ কোটি ৮৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

প্রকল্পের আওতায় ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। ইউনিয়ন সড়ক ও গ্রাম সড়কের উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মস‚চিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গত অক্টোবরে নেওয়া প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেয়াদে শতভাগ বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গ্রামীণ সড়ককে দুর্যোগ সহনীয় দুই লেন সড়কে উন্নীতকরণ, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ বা পুনর্বাসন, ইউনিয়ন সড়কের ইন্টারসেকশন নিরাপদকরণ, গ্রোথ সেন্টার উন্নয়ন, বাজার উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২ নম্বর অনুযায়ী টেকসই কৃষির প্রসার এবং অভীষ্ট  ৯ এ অভিঘাতসহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ এবং অন্তর্ভুক্তিম‚লক ও টেকসই শিল্পায়নের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পটি সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজি’র লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপ‚র্ণ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি গত ৯ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। দেশের দুর্গম তিন পার্বত্য জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় সেখানকার উৎপাদিত কৃষি ও অকৃষি পণ্যের পরিবহন ব্যয় অনেক বেশি। এর ফলে সেখানে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পায় না। ফলে সেখানে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় না। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাহাড়ে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে। সেখানকার কৃষি ও অকৃষি পণ্যের পরিবহন ব্যয় কমবে। এর ফলে সেখানে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের তিন জেলা ঘিরে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে কৃষি উৎপাদনে এবং উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণে সহযোগিতা এবং পর্যটন খাতে উন্নতি সাধন করা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৭ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads